‘রাত্রিটি’, ভোরের দিকে অগ্রসরমান রাত্রিটি, হিজরীর প্রথম বৎসরটিকে বুঝাইতে পারে। কেননা ঐ বৎসরটিও নবী করীম (সাঃ)-এর জন্য, রাত্রির মতই অন্ধকারময়, আশঙ্কাময় ও দুর্যোগপূর্ণ ছিল। মদীনায় হিজরতের পরে মুসলমানদের জন্য যদিও উষার ক্ষীণ আভা দেখা দিল, কিন্তু সাথে সাথে নিরাপত্তার আলো দেখা দিল না। আরো একটি দুশ্চিন্তার ও দুর্বিপাকের বৎসর তাহাদের মাথার উপর ঝুলিয়াই রহিল, যে পর্যন্ত না কুরায়শ-বাহিনী বদর প্রান্তরে মুসলমানদের হাতে ভীষণভাবে পরাজিত ও বিধ্বস্ত হইয়াছিল। শত্রুপক্ষ স্বীয় নেতৃবৃন্দসহ এমনিভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হইয়াছিল যে, ইসাইয়া নবীর ভবিষ্যদ্বাণী (যাহার ইঙ্গিত কুরআনের ২১ঃ১৬ আয়াতে রহিয়াছে এবং যাহা বাইবেলে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হইয়াছে) ইহাতে অক্ষরে অক্ষরে পূর্ণ হইয়া গিয়াছে। ইসাইয়া নবীর ভবিষ্যদ্বাণী ছিল “প্রভু আমাকে কথা কহিলেন, বেতনজীবীর বৎসরের ন্যায় আর এক বৎসরকাল মধ্যে কেদরের সমস্ত প্রতাপ লুপ্ত হইবে, আর কেদরবংশীয় বীরগণের মধ্য অল্প ধনুর্দ্ধর মাত্র অবশিষ্ট থাকিবে, কারণ সদা প্রভু ইস্রায়েলের ঈশ্বর, এই কথা বলিয়াছেন’ (যিশাইয়-২১ঃ১৬-১৭)।