৮১১

খৃষ্টান জাতি মরিয়মের প্রতি ঐশী-ক্ষমতা আরোপ করার যে পথ ধরিয়াছে, এই আয়াত উহার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছে। গীর্জায় লীটানী নামক প্রার্থনা পদ্ধতিতে স্বর্গীয়-ক্ষমতার অধিকারিণী হিসাবে মরিয়মের কাছে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করা হয়। রোমীয় গীর্জার ‘ক্যাটেকিজম’ (প্রশ্নোত্তর) পদ্ধতিতে মরিয়মকে ঈশ্বর-মাতা বলিয়া ধর্মমত পোষণ ও প্রচার করা হয়। পূর্বে গীর্জার ‘ফাদারগণ’ তাহাকে ‘স্বর্গীয়’ বলিয়া সম্মান দেখাইতেন। মাত্র কয়েক বৎসর পূর্বে, দ্বাদশ পোপ পীয়ুস গীর্জার ধর্মবিশ্বাসের মধ্যে মরিয়মের সশরীরে আকাশ-গমন ও অবস্থানকে স্থান দিয়াছেন। এই সব নব নব বিশ্বাস মরিয়মকে ঈশ্বরের স্তরে পৌঁছাইয়াছে। প্রটেস্ট্যান্টগণ ইহাকে মরিয়মবাদ বা মরিয়ম-পূজা নামে নিন্দা করিয়া থাকেন।