তফসীরাধীন আয়াত অত্যন্ত জ্ঞানগর্ভ প্রাকৃতিক নিয়মের প্রতি নির্দেশ করিতেছে। কোন বস্তু মহাশূন্যে কতটুকু স্থান পরিভ্রমণ করিয়াছে তাহা আমরা নিরূপণ করিতে পারি কেবলমাত্র অন্যান্য বস্তুর আপেক্ষিকতায় উহার স্থান পরিবর্তনের দ্বারা। আল্লাহ্তা’লা সূর্য এবং চন্দ্রের গতির ভিন্ন ভিন্ন ধাপ নিয়োজিত করিয়াছেন যাহাতে আমরা সময়ের গণনা করিতে সক্ষম হই। অন্য কথায়, তিনি এই সকল গ্রহ-নক্ষত্র প্রভৃতি জ্যোতিষ্কমণ্ডলীকে চলমান করিয়াছেন এবং ইহাদের গতির পর্যায় বা ক্রম নির্ধারিত করিয়া দিয়াছেন যাহাতে এই গতি লক্ষ্য করিয়া আমরা বুঝিতে পারি যে, এত সময় অতিবাহিত হইয়াছে এবং আমাদের মূল অবস্থান হইতে আরো সরিয়া চলিয়াছি। সর্বপ্রকার পঞ্জিকা বা কাল গণনার পদ্ধতি সূর্য এবং চন্দ্রের গতিবিধির উপর নির্ভর করে। চন্দ্র পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে, ফলে আমরা মাস-পঞ্জির হিসাব জানতে পারি। পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরে এবং নিজ অক্ষ-রেখার উপরেও আবর্তন করে, এইরূপে আমাদিগকে বৎসর এবং দিন নিরূপণ করিতে সক্ষম করে।