Author: admin

  • ৩৪৫৩

    পূর্ববর্তী তিনটি আয়াতসহ এই আয়াতের ব্যাখ্যা বিভিন্ন তফসীরকারক ভিন্ন-ভিন্নভাবে করিয়াছেন। কেহ কেহ বলেন, মক্কার পৌত্তলিকেরা তাহাদের প্রশ্নটিকে দুইটি আকারে উত্থাপন করিয়াছিল। তাই ঐ দুইটি আকারেই তাহাদের উত্তরও দেওয়া হইয়াছে। অন্যেরা বলেন, এই পুনরাবৃত্তির ব্যাপারটা, কেবল উত্তরটিকে জোরালো করার জন্য ঘটিয়াছে। আবার কেহ কেহ (যেমন যাজ্জাজ) মনে করেন, বর্তমান কালীন সময়ে ইবাদতের অস্বীকার করার জন্য ব্যবহৃত হইয়াছে, প্রথম দুইটি বাক্য (৩ ও ৪ আয়াত) এবং ভবিষ্যতে এইরূপ ইবাদতের অস্বীকারের জন্য ব্যবহৃত হইয়াছে শেষ দুইটি বাক্য (৫ ও ৬ আয়াত)। ইহার বিপরীত আল্লামা যমখশরী বলেন, প্রথম বাক্য দুইটি ভবিষ্যতের অস্বীকারকে বুঝাইতেছে এবং শেষ বাক্য দুইটি বর্তমান অস্বীকারকে বুঝাইয়াছে। যাহাই হউক, ‘লা’ (না, নহে) যখন বর্তমান-ভবিষ্যত কাল সম্পর্কিত ক্রিয়া পদের পূর্বে বসে, তখন ইহা দ্বারা ভবিষ্যৎকালই বুঝাইয়া থাকে। এইরূপ ব্যবহার-বিধি অনুযায়ী ‘লা আ’বুদু’ এর অর্থ দাঁড়ায় “আমি কখনও উপাসনা করিব না”। ‘মা’ অব্যয়টি দুই আকারে ব্যবহৃত। ‘মস্‌দরীইয়া’ হিসাবে ক্রিয়ার পূর্বে বসিয়া ইহাকে অসমাপিকা করিয়া তোলে এবং ‘মাওসূলাহ’ হিসাবে ব্যবহৃত হইলে, ইহার অর্থ দাঁড়ায়ঃ ইহা যাহা, সে যে; তিনি যিনি। এখানে প্রথম দুইটি বাক্যে ‘মা’ শব্দটি ‘মস্‌দরিইয়া’ হিসাবে এবং দ্বিতীয় দুইটি বাক্যে ‘মাওসূলাহ’ হিসাবে ব্যবহৃত হইয়াছে বলিয়া মনে করাই শ্রেয়ঃ। তখন এই চারিটি বাক্য বা আয়াতের অর্থ হইবেঃ “আমি কখনও তোমাদের উপাসনার রূপ ও ধরণ-ধারণ অবলম্বন করিব না এবং তোমরাও আমার ইবাদতের প্রক্রিয়া অবলম্বন করিবে না। এবং আমি কখনও তোমাদের উপাসনার বস্তুগুলির (প্রতিমা, বুদ্ধিমান ও বুদ্ধিহীন জীবজন্তু ইত্যাদিকে) উপাসনা করিব না। আর তোমরাও আমার আরাধ্যের (আল্লাহ্‌র) ইবাদত করিবে না।”