এই সূরাতে এবং কুরআনের আরও সূরাতে মো’মেনগণকে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে যে, কেবল নিজেই সত্য ও ন্যায়নীতিপূর্ণ আদর্শ অবলম্বন করিলে চলিবে না, বরং অপরের মধ্যেও এইগুলির প্রচার, বিস্তার ও প্রতিষ্ঠা ঘটাইতে হইবে, যাহাতে নিজেদের পারিপার্শ্বিকতার মধ্যেও সুস্থ পরিবেশ সৃষ্ট ও বিরাজিত থাকে। তাহাদিগকে আরও নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে যে, এই সুকঠিন কর্তব্য সম্পাদন করিতে গিয়া তাহারা অবশ্যই বিরোধিতা ও নির্যাতনের শিকার হইবে। এমতাবস্থায় তাহারা যেন নিরুৎসাহিত ও ভীতিগ্রস্ত না হয়, বরং ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা অবলম্বন করে। এইরূপে, এই সূরাটি একটি মাত্র আয়াতে এমন উৎকৃষ্ট পদ্ধতি শিখাইয়াছে যাহা অবলম্বনের ফলে মানব-জীবন সত্যিকার সুখী, পরিতৃপ্ত, উন্নত ও মর্যাদাশীল হইয়া উঠে।