৩৩৮৯

এই আয়াতে এইরূপ একটি ভবিষ্যদ্বাণী আছে বলিয়া মনে হয় যে, ‘কলম’ বিশ্ব-সভ্যতার ধারক-বাহক রূপে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করিতে যাইতেছে। পবিত্র কুরআন কলমের দ্বারা লিখিত আকার প্রাপ্ত হইয়া সঠিকভাবে সংরক্ষিত ও হস্তক্ষেপমুক্ত রহিয়াছে। আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও কুরআন-বাহিত ঐশী গুপ্ত তত্বাবলী এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞান-চর্চায় কুরআনের উৎসাহ দান ইত্যাদি সভ্যতা উদ্দীপক কর্মকাণ্ডে কলমই রাখিয়াছে সর্বাধিক অবদান। অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও চিন্তনীয় বিষয় ইহাই যে, কুরআনের মত গ্রন্থ যাহা এমন একজাতির মধ্যে অবতীর্ণ হইয়াছিল যাহারা না জানিত কলমের মূল্য, না জানিত কলমের তেমন একটা ব্যবহার এবং যাহা এমন একজন মানুষের কাছে অবতীর্ণ হইয়াছিল যিনি স্বয়ং লেখা-পড়া জানতেন না, সেই কুরআনে বার বার কলমের উল্লেখ করা হইয়াছে।