মানুষকে বিরাট আধ্যাত্মিক সৌভাগ্য অর্জনের জন্য সৃষ্টি করা হইয়াছে এবং তাহাকে এই উদ্দেশ্য সিদ্ধির কাজে সাহায্য করার জন্য আল্লাহ্তা’লা বার বার হযরত আদম, নূহ, মূসা (আঃ) ও মহানবী (সাঃ)-এর মত মহামানবগণকে প্রেরণ করিয়াছেন। তাহা সত্বেও, মানুষ যদি তাহার প্রকৃতিগত শক্তিসমূহের সদ্ব্যবহার না করে এবং যদি সে ঐশী-বাণীকে ও বাণীবাহকগণকে প্রত্যাখ্যান করিয়া শত্রুতায় লিপ্ত হয় এবং সেই কারণে যখন সে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়, তখন যুক্তিসঙ্গতভাবে এই কথা কেহই অস্বীকার করিতে পারে না যে, এই জগতেও বিচার-দিবস রহিয়াছে এবং পরকালেও বিচার দিবস রহিয়াছে। সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ সুবিচারক আল্লাহ্র আদেশাবলীকে অগ্রাহ্য করিয়া কাজ করিলে কেহই রেহাই পাইতে পারে না এবং সেই আদেশাবলীকে অনুসরণ করিয়া কাজ করিলে কেহই পুরস্কৃত না হইয়া পারে না। (এই সূরার শেষ আয়াত পাঠ করার পর ‘বালা ওয়া আনা আলা যালেকা মিনাশ শাহেদীন’ পাঠ করতে হয় যাহার অর্থঃ ‘হাঁ,এবং আমিও ইহার উপর সাক্ষদাতাগণের অন্তর্ভুক্ত)।