‘সিজ্জীন’ শব্দটির তাৎপর্য হইল, দুষ্কৃতকারী অবিশ্বাসীরা ভয়ঙ্কর শাস্তি পাইবে, যাহা তাহারা সুদীর্ঘকাল ধরিয়া ভূগিতে থাকিবে। অথবা, আয়াতটি ইহাও বুঝাইতে পারেঃ দুষ্কৃতকারীগণকে অতিশয় অপমানজনক ঘৃণ্য স্থানে রাখা হইবে, যাহা দীর্ঘস্থায়ী হইবে। ইহাই তাহাদের ব্যাপারে অটল সিদ্ধান্ত। অথবা ‘সিজ্জীন’ ও ‘ইল্লীয়্যূন’ দুইটি শব্দ দ্বারা কুরআনের দুইটি অংশকে বুঝাইতে পারে। সিজ্জীন কুরআনের ঐ অংশের নাম, যাহা ঐশী-বাণীর অস্বীকারকারীদের কীর্তিকলাপ ও শান্তিপূর্ণ পরিণতির বিষয়াদি বিরত করিয়াছে, আর ‘ইল্লীয়্যূন’ কুরআনের অপরাংশের নাম যাহা ধার্মিক বান্দাগণের সৎকার্যাদির বিবরণ ও তাহাদের জন্য নির্ধারিত পুরস্কারাদির বর্ণনা প্রদান করিয়াছে। এই হিসাবে এই আয়াতের অর্থ হইবে, যে সব সিদ্ধান্ত কুরআনের এই দুইটি অংশে বিরত হইয়াছে তাহা অটল ও অপরিবর্তনীয় থাকিবে।