সাধারণতঃ বিশ্বাস করা হয় যে, এই সূরাটি কেবলমাত্র মৃত্যু-পরবর্তী পুনরুত্থানের বিষয়টি আলোচনা করিয়াছে যখন চলমান প্রকৃতির নিয়ম-কানুন স্তব্ধ হইয়া নিস্ক্রিয় হইয়া যাইবে কিন্তু সূরাটির সম্পূর্ণ চিন্তাধারা ও সামগ্রিক মর্ম্মবাণী এতই পরিষ্কারভাবে ইহলোকের প্রাকৃতিক জগতের সুপরিচিত অবস্থাবলী সম্বন্ধে বর্ণনা দিতেছে যে, এই সূরাটিকে কেবলমাত্র পারলৌকিক চূড়ান্ত পুনরুত্থানের প্রতি আরোপ করিলে, কয়েকটি আয়াতের কোন অর্থই খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না। প্রকৃতপক্ষে, বস্তু-জগতে ও মানবিক-জীবনে, মহানবী (সাঃ)-এর সময়ের পরে, বিশেষতঃ আমাদের সময়ে, যে সকল মহবিবর্তন আগেই সংঘটিত হইয়া গিয়াছে, এই সূরাটিতে উহাই বর্ণিত হইয়াছে। আলোচ্য আয়াতটির অর্থঃ আধ্যাত্মিক অন্ধকার যখন বিশ্বকে গ্রাস করিয়া ফেলিবে, আধ্যাত্মিক সূর্য (মহানবী-সঃ)-এর আলো যখন নিষ্প্রভ হইয়া আসিবে অথবা প্রায় তিরোহিত হইয়া যাইবে। আয়াতটির অন্য একটি অর্থ এইরূপ হইতে পারেঃ নবী করীম (সাঃ)-এর একটি সুপ্রসিদ্ধ হাদীসে বর্ণিত আছে যে, ইমাম মাহদী (আঃ)-এর সময়ে একই রমযান মাসে সূর্য-গ্রহণ ও চন্দ্র-গ্রহণ ঘটিবে, যাহা পৃথিবী ও আকাশসমূহ সৃষ্টি অবধি আর কখনও পূর্বে ঘটে নাই (কুতনী, পৃঃ ১৮৮)। এই সূর্য-গ্রহণ ও চন্দ্র-গ্রহণ ১৮৯৪ সালের রমযান মাসে বর্ণিত তারিখ অনুযায়ী সংঘটিত হইয়া মহানবী (সাঃ)-এর ভবিষ্যদ্বাণীকে অক্ষরে অক্ষরে পূর্ণ করিয়াছে।