৩১৫২

নিশীথ রাত্রে জাগিয়া নামায, দোয়া ইত্যাদি আত্নশুদ্ধির কাজ করিলে, রিপু ও কুপ্রবৃতিসমূহ দমন হয় এবং নিজের আত্মাকে নিয়ন্ত্রণে রাখিতে কার্যকরীভাবে সাহায্য করে। আল্লাহ্‌র পবিত্র বান্দাগণের সকলেরই এই একই অভিজ্ঞতা যে, আধ্যাত্নিক উন্নতির জন্য নিশীথের দোয়া ও নামাযের মত এত কার্যকরী পন্থা আর কোনটিই নহে। গভীর রাত্রের নীরব-নিভৃত কন্দরে এক অব্যক্ত প্রশান্তি বিরাজ করিতে থাকে। সেই নিস্তব্ধ-নিরবতায় মানুষ একাকী তাঁহার স্রষ্টার সঙ্গ লাভ করিবার মহা-সুযোগ প্রাপ্ত হয়। তাহার আত্মা ঐশী আলোকে আলোকিত ও সমুজ্জ্বল হইয়া উঠে এবং সেই আলো সে অপরের কাছে বিলাইবারও সুযোগ পায়। এই সময়টা ব্যক্তির চারিত্রিক শক্তি অর্জনের পক্ষে এবং নিজের কথাবার্তাকে যুক্তিপূর্ণ, সার্থক ও প্রভাব-বিস্তার করার পক্ষে বড়ই উপযোগী। সফল বাকশক্তি ও অদম্য কর্মক্ষমতা এমনই দুইটি গুণ যাহা ধর্ম-সংস্কারকের জন্য অপরিহার্য। জাগরিত রাত্রির প্রার্থনা এই দুইটি শক্তিকে (গুণকে) জাগাইয়া তোলে। স্বীয় মনের উপর ও স্বীয় জিহ্বার উপর নিয়ন্ত্রণ লাভের মাধ্যমে, অপর সকলের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ ঘটে।