‘তোমরা দুইজন’ বলিতে আয়েশা ও হাফসা (রাঃ)-কে বুঝাইয়া থাকিবে, কেননা এই দুইজনই মহানবী (সাঃ)-এর স্ত্রীগণের জন্য সুখ-সাচ্ছন্দ্যের, জীবন-জীবিকার দাবী উত্থাপনে নেতৃত্ব প্রদান করিয়াছিলেন। মহানবী (সাঃ)-এর অন্যান্য সকল স্ত্রীই এই দাবী উত্থাপনে একজোট ছিলেন। কিন্তু যেহেতু আয়েশা (রাঃ) ও হাফসা (রাঃ) যথাক্রমে মহাসম্মানিত সাহাবীদয় হযরত আবুবকর ও হযরত উমরের (রাঃ) কন্যা ছিলেন, সেইজন্যই মনে হয় তাহারা এই বিষয়ে নেতৃত্ব দিয়াছিলেন। আয়াতটির ভাষার ধরণও কঠোর, ইহার গাম্ভীর্যপূর্ণ বাগ্ধারা হইতেই বুঝা য়ায় যে, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এক জনের স্ত্রীর গৃহে মধুমিশ্রিত শরবত পান করার মাঝে এমন কি কঠোরতার ব্যাপার আসিয়া যাইতে পারে যে, মহানবী (সাঃ)-এর মত মহামহিম ব্যক্তিত্ব এক মাসের জন্য সকল স্ত্রী হইতে নিজেকে সম্পূর্ণ আলাদা রাখার মত কঠিন ব্রত অবলম্বনে প্রতিজ্ঞা করিলেন? আল্লাহ্র বাণীতে, মহানবী (সাঃ)-এর স্ত্রীগণকে কঠোর ভাষায় পরোক্ষভাবে শাসানো হইতেছে— “আল্লাহ্ই তাহার অভিভাবক এবং জিব্রাঈল এবং সকল সৎকর্মপরায়ণ মো’মেনও এবং ইহা ছাড়া সকল ফিরিশ্তাও (তাহার) পৃষ্ঠপোষক।’