ইহুদীদের যে তিনটি দলের মধ্যে ঈসা (আঃ) তাঁহার বাণী প্রচার করিয়াছিলেন, তাহারা ছিলেন ফারিসী, সাদুসী ও এসিনী। ঈসা (আঃ) নবুওয়াত প্রাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত শেষোক্ত এসেনী দলের সদস্যভুক্ত ছিলেন। এসিনীরা অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ ছিলেন। তাহারা সাংসারিকতার ঝামেলা হইতে মুক্ত থাকিয়া সহজ-সরল জীবন যাপন করিতেন; উপাসনা, প্রার্থনা ও ব্রত পালনে তাহারা অধিকতর মনোযোগী ছিলেন। মানব-সেবাকেও তাহারা ধর্মের অঙ্গ মনে করিতেন। ঈসা (আঃ)-এর প্রথম অনুসারীদের অধিকাংশই ছিলেন এই এসেনী সম্প্রদায়ের লোক (দি ডেড্সী কমিউনিটি প্রনেতা-কুর্ট শূবার্ট দি ক্রুসিফিকেশন বাই এন আই-উইটনেস)। ইউসেফাস এই অনুসারীগণকে “সাহায্যকারী” বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। এই সূরার সমাপ্তি শব্দগুলি ভবিষ্যদ্বাণীর মর্যাদা রাখে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ব্যাপিয়া, ঈসা (আঃ)-এর অনুসারীরা তাহাদের চিরশত্রু ইহুদীদের উপর প্রভাব-প্রতিপত্তি ও আধিপত্য খাটাইয়া চলিয়াছে। ঈসা (আঃ)-এর অনুগামীগণ রাষ্ট্র, এবং সাম্রাজ্য স্থাপন করিয়া বড় বড় এলাকা জুড়িয়া শাসন-ক্ষমতা প্রয়োগ করিয়াছে। আর অপরদিকে ইহুদীরা ছত্রভঙ্গ, বিচ্ছিন্ন গোষ্ঠি হিসাবে বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় এমনিভাবে ছড়াইয়া আছে যে, ‘যাযাবর ইহুদী’ শব্দটি এখন প্রবাদে পরিণত হইয়াছে।