সা’লাবার কন্যা এবং আউস বিন সামিতের স্ত্রী খাওলা স্বামী কর্তৃক বিচ্ছিন্নতার বিরহে পতিত হন। কেননা তাহার স্বামী তাহাকে ‘মা’ ডাকিয়া এই বিপদে ফেলে। ‘তুমি আমার মায়ের পিঠ সদৃশ’ এই কথা উচ্চারণ করিয়া স্বামী-স্ত্রীকে পুরাতন আরব প্রথা অনুসারে একটা ঝুলন্ত অবস্থায় নিপতিত করিতে পারিত। এই প্রথার নাম ছিল ‘যিহার’। আউস এই প্রথার সুযোগ নিয়া খাওলাকে ঝুলন্ত রাখিল অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রী রূপে মিলামিশা হইতে বঞ্চিত রাখিয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলিয়া দিল। হতভাগা স্ত্রী না বিবাহ-বিচ্ছেদের দাবী করিতে পারে, না দ্বিতীয় বিবাহ করিতে পারে, না বর্তমান স্বামীর উপর স্ত্রী-হিসাবে কোন দাবী খাটাইতে পারে। খাওলা অনিশ্চিত ঝুলন্ত অবস্থায় পতিত হইলেন। তিনি মহানবী (সাঃ)-এর কাছে আসিয়া তাহার দুর্দশার কাহিনী বর্ণনা করিলেন এবং তাহার পরামর্শ ও সাহায্য চাহিলেন। মহানবী (সাঃ) তাহার প্রতি সহানুভূতি দেখাইলেন বটে, কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে কিছু করিতে অপারগতা প্রকাশ করিলেন। কেননা এই ধরণের বিষয়াদির ব্যাপারে, ওহী ইলহামের মাধ্যমে অবগত না হইয়া তিনি সাধারণতঃ কোনও সিদ্ধান্ত দিতেন না। অবশ্য আল্লাহ্র তরফ হইতে ওহী আসিল এবং ‘যিহার’ প্রথা বেআইনী বলিয়া ঘোষিত হইল।