২৯৮১

‘সাবাহা ফি হাওয়া-ইজিহি’ মানে, সে নিজের জীবিকা অর্জনে বা নিজের কাজে ব্যস্ত ছিল। ‘সাব্‌হ’ দ্বারা নিজের কাজ করা বুঝায় কিংবা ইহা শীঘ্র শীঘ্র সচেষ্টভাবে করা বুঝায়। ‘সুবহানাল্লাহ্‌’ কথাটি দ্বারা ‘তাড়াতাড়ি করিয়া আল্লাহ্‌র আশ্রয় নেওয়া ও তাঁহার আনুগত্য অবলম্বন করা’ বুঝায়। এই শব্দটির মূল ধাতু দৃষ্টে ক্রিয়া বিশেষ্য তস্‌বীহ (সাবাহা হইতে উৎপন্ন) অর্থে ‘আল্লাহ্‌কে অপূর্ণতা ও ত্রুটি হইতে সম্পূর্ণ মুক্ত বলিয়া ঘোষণা করা’ বুঝায় এবং সাথে সাথে ‘সুবহানাল্লাহ্‌’ বলিয়া আল্লাহ্‌র খেদমতে হাজির হওয়া ও আনুগত্য স্বীকারও বুঝায় (লেইন)। অতএব এই আয়াতের তাৎপর্য হইলঃ এই বিশ্ব-জগতের প্রত্যেকটি বস্তু ইহার নির্ধারিত কাজ নিয়মিতভাবে, সঠিক সময়ে করিয়া যাইতেছে। আল্লাহ্‌র দেওয়া শক্তি-সামর্থ্য ব্যবহার করিয়া নিজের সৃষ্টির উদ্দেশ্য এমনি সঠিক বিস্ময়করভাবে সম্পাদন করিতেছে যে, ইহা দেখিয়া স্বতঃই মনে হয় যে, এই মহাবিশ্বের পরিকল্পনাকারী ও নির্মাণকর্তা কত মহাশক্তিধর ও সর্বজ্ঞানী! সমগ্র মহাবিশ্ব একীভূতরূপে এবং প্রত্যেক সৃষ্ট বস্তু নিজ নিজ কর্ম-বলয়ে এই অনস্বীকার্য সত্যেরই সাক্ষ্য বহন করে যে, আল্লাহ্‌তা’লার সৃষ্টিকর্ম কত কারুকার্যময়, সকল দিক দিয়া কত ত্রুটিমুক্ত ও তুলনাবিহীন। ‘তস্‌বীহ’ এর অর্থ ও তাৎপর্য ইহাই!