২৯৬৪

পূর্ববর্তী আয়াতসহ এই আয়াত এবং কুরআনের আরও বহু আয়াত, বেহেশ্‌তের নেয়ামতসমূহের প্রকৃতি, ধরণ-ধারণ, বাস্তবতা ও সারবস্তু সম্বন্ধে মানুষের অন্তর্দৃষ্টি খুলিয়া দেয়। কুপ্রবৃত্তি সম্পন্ন ছিদ্রান্বেষীরা এবং মূর্থ সমালোচকগণ কুরআনের বর্ণনা হইতে বেহেশ্‌তের মধ্যে যে ইন্দ্রিয়াসক্তির ধারণা আবিষ্কার করিয়া থাকেন, এইসব আয়াত অত্যন্ত জোরের সহিত তাহা নাকচ করিতেছে। মুসলমানের জন্য যে বেহেশ্‌তের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে, তাহার ধারণা দিতে গিয়া কুরআন বলিতেছে যে, ইহা হইবে নিরবচ্ছিন্ন আশীর্বাদের স্থান যেখানে পাপ, ব্যর্থতা, নিরর্থক ও অলস কথাবার্তা কিংবা অসত্য কিছুই থাকিবে না (৭৮ঃ৩৬)। ইহার সকল আশীর্বাদ ও কল্যাণরাশি মিলিয়া একীভূত হইয়া একটা নিরবচ্ছিন্ন শান্তিতে পর্যবসিত হইবে। মনের ও আত্মার তৃপ্তি ও শান্তি বেহেশ্‌তবাসীদের অনন্ত সার্থী হইবে। সেজন্য মুসলমানের বেহেশৃতকে কুরআন “শান্তি-নিবাস” আখ্যা দিয়াছে (৬ঃ১২৮)। মো’মেনের আধ্যাত্মিক অগ্রগতির চরম গন্তব্যে রহিয়াছে “শান্তিপ্রাপ্ত আত্মা” (৮৯ঃ২৮), সবচাইতে বড় দান যাহা বেহেশ্‌তবাসীরা আল্লাহ্‌তা’লার কাছ হইতে প্রাপ্ত হইবে তাহা হইল “শান্তি” (৩৬ঃ৫৯), কেননা আল্লাহ্ স্বয়ং শান্তি সৃষ্টিকারী (৫৯ঃ২৪)। এতই মহান ও পবিত্র হইল কুরআনী বেহেশ্‌ত।