মহানবী (সাঃ) যখন এই সূরাটি তেলাওয়াত করিয়া উপস্থিত বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী সকলকে শুনাইয়া শেষ করিলেন এবং অনুসারীবৃন্দসহ নিজে সেজদায় পড়িলেন, তখন অবিশ্বাসীরাও তেলাওয়াতের ভাব-গাম্ভীর্যে এবং আল্লাহ্তা’লার মহিমা-কীর্তনে অভিভূত হইয়া সেজদায় পড়িয়াছিল। এইরূপ করা তাহাদের পক্ষে একবারে অস্বাভাবিক ছিল না, কেননা তাহারাও আল্লাহ্তা’লাকে স্রষ্টা ও সর্বোচ্চ প্রভু বলিয়া মনে করিত এবং তাহাদের উপাস্য দেবতাগুলিকে সর্বোচ্চ প্রভুর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে বা যোজক হিসাবে জ্ঞান করিত (১০ঃ১৯)। এই যুক্তি-সঙ্গত ঘটনাকে, ২০, ২১, ২২ আয়াতের সাথে জড়াইয়া কল্পনা-বিলাসীদের দ্বারা মিথ্যা কাহিনীর জাল বোনা হইয়াছে, উহার মধ্যে দুর্নাম রটনাকারীরা মহানবী (সাঃ)-এর ‘বিচ্যুতির’ সন্ধান পাইয়াছে বলিয়া মনে করিয়া থাকে। প্রকৃতপক্ষে এই সকল রটনাকারীরা যে বিভ্রান্ত তাহাতে কোন সন্দেহ নাই।