মোনাফেকের দুই মুখ, তাহারা দ্বিমুখী-নীতি পালন করে এবং দ্ব্যর্থবোধক ভাষায় কথা বলে। অসুবিধাজনক অবস্থা হইতে উদ্ধার পাওয়ার জন্যই সে এরূপ করিয়া থাকে। শব্দ বা বাক্যের একরূপ গঠন যদি তাহাকে বেকায়দায় ফেলে, তখন সে শব্দের অন্য অর্থ বা বাক্যের অন্যরূপ গঠন দেখাইয়া ঐ অবস্থা হইতে বাঁচিতে চায়। উল্লেখিত বাগধারা দ্ব্যর্থবোধক ভাষার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। মদীনার মোনাফেকেরা এইরূপ ভাষা ব্যবহার করিত। মহানবী (সাঃ)-এর সাথে এই মোনাফেকদের একজন সাক্ষাতের পরে পরেই যদি কোন মুসলমানের সহিত দেখা করিত, তখন সে বলিয়া উঠিত, ‘এখনই মহানবীর মুখে কী কথা শুনিলাম—অর্থাৎ মহানবী কত মূল্যবান ও উপকারী কথাই না বলিয়াছেন।’ কিন্তু অনুরূপ অবস্থায় সে যদি তাহারই মত একজন মোনাফেকের সহিত মিলিত হইত তখন সে উপরোক্ত বাক্যটিই ব্যবহার করিত, তবে অন্য অর্থে যেমন, এই মাত্র এই নবী কি আজে-বাজে কথা বকিতেছিল।