এই সূরার ১১ আয়াতে, তাওরাতের ১৮ঃ১৮ আয়াতের বরাত দিয়া বলা হইয়াছে যে, বনী ইসমাঈলের মধ্যেও একজন নবীর আসার কথা আছে। এখানে এই ১৩ আয়াতে বলা হইতেছে যে, মূসা (আঃ)-এর অনুরূপ যেই নবীর ভবিষ্যতে আগমনের কথা ছিল, আরবদেশই সেই নবীর আগমন-স্থল এবং মূসার গ্রন্থে ভবিষ্যতে অবতরণকারী যে গ্রন্থের উল্লেখ আছে, সেই গ্রন্থ ইহাই অর্থাৎ কুরআন। এই গ্রন্থ পূর্বে অবতীর্ণ সকল ধর্ম গ্রন্থকে বাতিল করিয়া উহাদের স্থান দখল করিল যেভাবে ভবিষ্যদ্বাণীতে আছে। সংশ্লিষ্ট ভবিষ্যদ্বাণীটি হইলঃ “আরবের উপর দায়িত্ব ভার। হে দর্দানীয় পথিকদলসমূহ, তোমরা আরবের বনের মধ্যে রাত্রি যাপন করিবে। তোমরা তৃষিতের কাছে জল আন; টেমা-দেশ বাসীরা, তোমরা অন্ন লইয়া পলাতকদের সহিত সাক্ষাৎ কর। কেননা তাহারা খড়গের সম্মুখ হইতে, নিষ্কোষিত খড়গের, আকর্ষিত ধনুর ও ভারী যুদ্ধের সম্মুখ হইতে পলায়ন করিল” (যিশাইয়-২১ঃ১৩-১৫)।