ঈসা-মসীহ্ (আঃ)-এর আগমন এই বিষয়ের ইঙ্গিতবাহী ছিল যে, ইহুদীদের পতনের দিন ঘনাইয়া আসিয়াছে, তাহারা অসম্মান ও অপমানের অবস্থায় পতিত হইবে এবং নবুওয়াতের যে ‘নেয়ামত’ দীর্ঘকাল যাবৎ তাহাদের মধ্যে বিরাজিত ছিল, সেই নেয়ামত হইতে তাহারা চিরদিনের জন্য বঞ্চিত হইবে। ‘মাসাল’ শব্দটির অর্থ হইল, ‘অনুরূপ’ বস্তু বা ব্যক্তি, তুলনায় সর্বতোভাবে মিলিয়া যায় এরূপ বস্তু বা ব্যক্তি (৬ঃ৩৯)। এই হিসাবে, অত্র আয়াতের যে অর্থ মূল অনুবাদে দেওয়া হইয়াছে, সেই অর্থ ছাড়াও এই আয়াতের আরো একটি অর্থ রহিয়াছে। ইহা এই যে, যখন মহানবী (সাঃ)-এর উম্মতকে বলা হইবে যে, ঈসা (আঃ)-এর সহিত সর্বতোভাবে সামঞ্জস্য রাখিয়া অনুরূপ এক মহামানব মুহাম্মদী উম্মতে আগমন করিবেন এবং ইসলামের পুনর্জাগরণ দ্বারা ইহার হত গৌরব পুনরুদ্ধার করিবেন, তখন এই শুভ-বার্তা শুনিয়া তাহারা আনন্দিত হওয়ার পরিবর্তে কুট-তর্ক সৃষ্টি করিবে এবং অনর্থক উচ্চবাচ্য করিতে থাকিবে। এই দিক দিয়া দেখিলে, এই আয়াতে ঈসা (আঃ)-এর দ্বিতীয় আগমনের কথা বলা হইয়াছে বলিয়া মনে হয়।