এই আয়াতটি আল্লাহ্র বাণীর একটি অত্যুজ্জ্বল ও অত্যাশ্চর্য সাক্ষ্য। ইহা সাক্ষ্য দিতেছে যে, কুরআন আল্লাহ্তা’লার তরফ হইতে অবতীর্ণ হইয়াছে। আজ হইতে ১৪ শত বৎসর পূর্বে যখন জ্ঞান-বিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিদ্যা মাত্র আতুর ঘরে ছিল, তখন আরব মরুর এক নিরক্ষর দুলালের পক্ষে এই অত্যাশ্চর্য মহাপাণ্ডিত্যপূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য পরিবেশন করা কী করিয়া সম্ভব হইল যে, পৃথিবী ছাড়াও মহাশূন্যের অন্যান্য গ্রহে কোন না কোন আকৃতিতে জীবনের অস্তিত্ব রহিয়াছে! ‘আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে তিনি যে সমস্ত জীব-জন্তু ছড়াইয়া দিয়াছেন’ এই বাক্যাংশটি, এক আশ্চর্যজনক বৈজ্ঞানিক তথ্যকে সেই সুদূর অতীতে প্রকাশ করিয়াছে, কারণ কুরআন সর্বজ্ঞানী আল্লাহ্র বাণী, ইহা মুহাম্মদ (সাঃ) কিংবা অন্য কোন মানবের বাণী নহে। তিনি যখন চাহিবেন সকলকে একত্রিত করিতে সক্ষম এই বাক্যাংশটি একটি ভবিষ্যদ্বাণীও হইতে পারে যে, এমন এক সময় আসিবে (সম্ভবতঃ) যখন পৃথিবীতে বসবাসকারী ও অন্যান্য গ্রহ-গ্রহান্তরের বসবাসকারীদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপিত হইবে এবং তাহারা একত্রিত হইবার সুযোগ পাইবে। প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে সম্প্রতি জানা গিয়াছে যে ১২,০০০ বৎসর পূর্বে আকাশ হইতে অতিথিরা (দ্রোপাস) পৃথিবীতে আসিয়াছিল (দি পাকিস্তান টাইমস, ১৩-৮-৬৭)।