২৫২৫

এই দুই অনধিকার প্রবেশকারীর দ্বারা বাদী-বিবাদীর রূপ ধারণ যে একটা ফেরেববাজী মাত্র তাহা দাউদ (আঃ) বুঝিয়াছিলেন। তাহাদের ছলনার ভিতরে লুক্কায়িত গোপন উদ্দেশ্য তাঁহার কাছে স্পষ্টই ধরা পড়িয়াছিল। কিন্তু তিনিও তাঁহার উপস্থিত-বুদ্ধি ব্যবহার করিয়া বিজ্ঞ বিচারকের মতই রায় দিলেন। তবে, মনে মনে বুঝিতে পারিলেন যে, যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করা সত্ত্বেও, তাহার জাতির উপর তাঁহার আধিপত্য কিছুটা শিথিল হইয়াছে, তাঁহার শক্রদের শক্রতা ও ষড়যন্ত্র হইতে তিনি একেবারে মুক্ত নহেন তাহার মানসিক অনুভূতি জাগিল যে, এই ঘটনা আল্লাহ্‌তা’লার প্রদত্ত সাবধান বাণী স্বরূপ। অতএব ধর্মপ্রাণ খোদা-ভীরুগণ এইরূপ ক্ষেত্রে যে ব্যবস্থা অবলম্বন করিয়া থাকেন, তিনিও তাহাই করিলেন। তিনি আল্লাহ্‌তা’লার কাছে প্রার্থনা করিলেন যে, শক্রর নষ্টামী ও ষড়যন্ত্র হইতে যেন তাঁহাকে নিরাপদ রাখেন। মিথ্যা মোকদ্দমাবাজ এই বাদী-বিবাদীর বর্ণিত গল্পটির অন্তরালে একটি অপবাদ দেওয়ার প্রচেষ্টা আছে, তাহা এই যে, ‘হে দাউদ! তুমি এক নিষ্ঠুর বাদশাহ্। তুমি ছোট ছোট জাতি ও উপজাতিগুলির উপরে নিজের আধিপত্য ক্রমাগতভাবে বাড়াইয়া চলিয়াছ। তুমি সাম্রাজ্যবাদী।’