২৪১৯

আয়না বা দূরবীণের মধ্যে দৃষ্ট বিভিন্ন ধরণের আকৃতি, রং ও বেরং-এর সমাহার, যাহা পূর্ববর্তী আয়াতে বর্ণিত হইয়াছে, তাহা যে কেবল ফুলে, ফলে ও পর্বতশিলায় দৃষ্ট হয়, এমন নহে। বরং এই দৃশ্যাবলী মানুষ, জন্তু ও পালিত পশুর মাঝেও দেখা যায়। ‘আন নাস’ (মানুষ) ‘আদ দাওয়াব’ (জন্তু) এবং ‘আল আন’আম (পলিত-পশু) শব্দগুলি দ্বারা বিভিন্ন শক্তির বিভিন্ন প্রকৃতির ও বিভিন্ন মেজাযের মানুষকেও বুঝাইতে পারে। ‘প্রকৃত পক্ষে আল্লাহ্‌কে তাঁহার বান্দাগণের মধ্যে কেবল জ্ঞানীগণই ভয় করে’ এই বাক্যটি দ্বারা বুঝা যায় যে, উপরোক্ত শব্দ তিনটি তিন শ্রেণীর মানুষের জন্য ব্যবহৃত হইয়াছে। ইহাদের মধ্যে যে শ্রেণী জ্ঞান-প্রাপ্ত সেই শ্রেণীর লোকই আল্লাহ্‌কে সঠিকভাবে ভয় করে। জ্ঞান বলিতে এখানে কেবল আধ্যাত্মিক জ্ঞান বুঝাইয়াছে এরূপ মনে করা ঠিক নয়। এখানে বরং প্রাকৃতিক-বিধানের জ্ঞানকেও বুঝাইয়াছে। প্রকৃতির বিধান ও নিয়মাবলীকে অনুধাবন সহকারে, ভক্তিমাখানো মনে পাঠ করিলে, অনিবার্যভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, আল্লাহ্‌র শক্তি কতই না সীমাহীন! এই উপলব্ধি মানুষকে আল্লাহ্‌র ভক্তি-ভালবাসায় উদ্ভুদ্ধ করিয়া তাঁহার সামনে মাথা ঝুঁকাইতে প্রবলভাবে আকৃষ্ট করে।