এই আয়াত হইতে খন্দকের যুদ্ধের বর্ণনা শুরু হইল। হিজরী পঞ্চম বৎসরে এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ইতিপূর্বে মুসলমানগণ কাফেরদের সাথে যত যুদ্ধ করিয়াছেন, সেইগুলি হইতে এই যুদ্ধ ছিল অতিশয় ভয়ানক, বিপজ্জনক ও হিংসাত্মক। যুদ্ধে আরবের সকলে একত্রিত হইয়া সম্মিলিতভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাইল। মক্কার কুরায়শ ও তাহাদের মিত্রবর্গ, গাৎফান গোত্র, আশ্বজাহ্ ও মুররাহ্ গোত্র, ফারারাহ্ ও সুলাইম গোত্র, বনু সাদ ও বনু আসাদ গোত্র এবং মধ্য-আরবের মরু-গোত্রসমূহ সকলে মহানবী (সাঃ)-এর বিরুদ্ধে একত্রিত হইল। পাপিষ্ঠ ইহুদীরা এবং মদীনার মোনাফেকরাও তলে তলে ঐ সম্মিলিত শত্রুদের দলে যোগ দিল। এইভাবে দশ হাজার হইতে বিশ হাজার সুদক্ষ শত্রু সৈন্য মাত্র বারশত (কাহারও মতে স্ত্রীলোক ও শিশুসহ মোট ৩০০০ মাত্র মুসলমান খন্দক বা খাল কাটার কাজে নিয়োজিত হইয়াছিল) নাম-মাত্র অস্ত্রে সজ্জিত প্রস্তুতিহীন মুসলমানগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য দণ্ডায়মান হইল। তাহারা চতুর্দিক হইতে মদীনাকে ঘেরাও করিয়া ফেলিল। এই ঘেরাও অবস্থায় পনর দিন হইতে এক মাস থাকার পর মদীনা মুক্ত হইল। এই মহা পরীক্ষার মধ্য দিয়া ইসলাম আরও শক্তিশালী হইয়া উঠিল। অতঃপর অবিশ্বাসী কুরায়শগণ ইসলামী শক্তির বিরুদ্ধে আর কখনও পা বাড়াইতে সাহস পায় নাই।