২২৫৩

কুরআন মজীদ বিভিন্ন যুগে নবীগণের সময়াময়িক বিরুদ্ধবাদীদিগের উপর আপতিত শাস্তির জন্য পৃথক পৃথক শব্দ এবং বাচন ভঙ্গি ব্যবহার করিয়াছে। ‘আদ’ জাতির উপর পতিত শাস্তি প্রচণ্ড বায়ু প্রবাহ রূপে বর্ণিত হইয়াছে (৪১ঃ১৭, ৫৪ঃ২০ এবং ৬৯ঃ৭), সামূদ জাতিকে যাহা অতর্কিতে ধৃত করিয়াছিল উহাকে ভূমিকম্প (৭ঃ৭৯), প্রবল ঝঞ্ঝা (১১ঃ৬৮ ৫৪ঃ৩২), বজ্রপাত (৪১ঃ১৮) এবং প্রচণ্ড বিস্ফোরণ (৬৯ঃ৬) বলিয়া বর্ণনা করা হইয়াছে। যাহা হযরত লুত (আঃ)-এর জাতিকে ধ্বংস করিয়াছিল উহাকে বলা হইয়াছে মৃৎ-শিলা (১১ঃ৮৩, ১৫ঃ৭৫), শিলাবৃষ্টি (৫৪ঃ৩৫) এবং যে শাস্তি হযরত শোআয়্‌ব (আঃ)-এর জাতি মিদিয়ানবাসীকে অতর্কিতে পাকড়াও করিয়াছিল উহাকে ভূমিকম্প নামে (৭ঃ৯২; ২৯ঃ৩৮), প্রবল বাত্যা (১১ঃ৯৫) এবং অন্ধকারাচ্ছান্ন দিবসের আযাব (২৬ঃ১৯০) রূপে অভিহিত করা হইয়াছে। অবশেষে যে ঐশী শাস্তি ফেরাউনকে এবং তাহার শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী ও অমাত্যবর্গ, হামান ও কারূনকে পাকড়াও করিয়াছিল এবং সমূলে ধ্বংস করিয়াছিল উহাকে এইভাবে বর্ণনা করা হইয়াছে—‘আমরা….. ফেরাউনের দলবলকে ডুবাইয়া মারিয়াছিলাম’(২ঃ৫১, ৭ঃ১৩৭ এবং ১৭ঃ১০৪) এবং“তাহাকে সম্পূর্ণ গ্রাস করিবার জন্য আমরা পৃথিবীকে প্রস্তুত করিয়াছিলাম’ (২৮ঃ৮২)।