শত শত বৎসর পার হইয়া গেল, হযরত মূসা (আঃ)-এর পরবর্তীকালে নবীগণের এক সুদীর্ঘ শ্রেণীর আবির্ভাব ঘটল এবং তাঁহারা নিজ নিজ বাণী প্রচার করিয়া গেলেন, কিন্তু দ্বিতীয় বিবরণ ১৮ঃ১৮ শ্লোকে উল্লিখিত (যাহার সম্বন্ধে হযরত মূসা (আঃ) ভবিষ্যদ্বাণী করিয়াছিলেন) ’মূসার মত নবী হওয়ার দাবী ঐ সকল নবীগণের মধ্যে কেহই করিলেন না। পবিত্র কুরআন নাযিল হইয়া দাবী উপস্থাপন করিল যে, হযরত মূসা (আঃ)-এর মহান ভবিষ্যদ্বাণীটি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর মধ্যে পূর্ণ হইয়াছে (৭৩ঃ১৬)। সুতরাং ভবিষ্যদ্বাণীটি প্রামাণ্যরূপে ঐশী-ভিত্তিকই ছিল এবং উহা মূসা (আঃ)-এর বহু শতাব্দী পরে আবির্ভূত নবী করীম (সাঃ) কর্তৃক তাঁহার মুখে প্রক্ষিপ্ত হইতে পারে না। হযরত মূসা (আঃ)-এর জাতির লোকেরা কালের ব্যবধানে পবিত্র নবী করীম (সাঃ) সম্পর্কে অন্যান্য ভবিষ্যদ্বাণীসহ উক্ত ভবিষ্যদ্বাণীটিও প্রায় ভুলিয়া গিয়াছিল।