২১৩২

এই আয়াতের অভিপ্রায় এইরূপ যে, কুরআনের নুযুল (অবতীর্ণ হওয়া) নূতন কোন ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ব্যাপার নহে। উপরে বর্ণিত নবীগণের নিকট প্রেরিত ঐশী-বাণীর মত কুরআনের বাণীসমূহও আল্লাহ্‌তা’লারই প্রত্যাদেশ। কিন্তু পার্থক্য কেবল এই যে, পূর্ববর্তী নবীগণ স্ব স্ব জাতির জন্য প্রত্যাদিষ্ট হইয়াছিলেন, কিন্তু কুরআন করীম পৃথিবীর সমগ্র জাতির জন্য নাযেল হইয়াছে, কারণ ইহা ‘সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালকের পক্ষ হইতে নাযেল হইয়াছে’ বলিয়া ঘোষণা করা হইয়াছে।