২০৯৪

তা সীন্‌ মীম্‌, এইগুলি ‘হুরূফে মুকাত্তাআত’ (সাংকেতিক বা সংক্ষিপ্ত বর্ণমালা)। এখানে প্রতীকরূপে ‘তাহের’ (পবিত্র)-এর তা, ‘সামী’ (সর্বশ্রোতা)-এর সীন্‌ এবং ‘মজীদ’ (মর্যাদাবান)-এর মীম, ইঙ্গিত করে যে, সূরাটি এই উপায়ে হৃদয়ের পবিত্রতা অর্জন, দোয়ার কবুলিয়ত এবং মর্যাদা লাভের শিক্ষা দেয়। তফ্‌সীরাধীন এবং পরবর্তী তা সীন মীম্ মুকাত্তা’আত-বিশিষ্ট দুইটি সূরা একই বিশেষ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত এবং এইগুলির প্রত্যেকটি বিষয়-বস্তুতে পরস্পরের খুবই ঘনিষ্ঠ সাদৃশ্য বহন করে। এইগুলি প্রায় একই সময়ে মক্কায় অবতীর্ণ হইয়াছিল। যেহেতু এই সূরাগুলি বিশেষভাবে হযরত মূসা (আঃ)-এর ঘটনাসমূহ কিছুটা বিস্তারিত বর্ণনা করে, সেইহেতু কোন কোন তফসীরকারক এই সংক্ষিপ্ত বর্ণমালাসমূহকে সীনাই পর্বত এবং মূসা (আঃ)-এর স্থানে গ্রহণ করিয়াছেন — তা সীনকে তুরে সীনীন (সীনাই পর্বত) এবং মীম্‌কে মূসা (আঃ)-এর প্রতীক রূপে নিয়াছেন।