আয়াতটির মর্ম ইহাই যে, একজন পবিত্র নবী কিরূপ হওয়া উচিৎ এই বিষয়ে কাফেরকুলের ধারণা বাস্তবতা হইতে অনেক দূরে এবং নবীগণের (আঃ) আবির্ভূত হওয়ার মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সম্বন্ধে তাহারা অজ্ঞ। অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষকে অস্বীকার এবং সন্দেহ হইতে নিশ্চিত আলো এবং আধ্যাত্মিক শান্তির দিকে পরিচালিত করার জন্য নবী-রসূলগণ প্রত্যাদিষ্ট হইয়া থাকেন—পার্থিব ধন-সম্পদ জমা করা এবংউহাতে গড়াগড়ি করিয়া আনন্দোৎসব করিবার পথ-প্রদর্শনের জন্য নহে। যদিও অবিশ্বাসীদিগের স্বকল্পিত মানদণ্ড— যেমন নবী করীম (সাঃ)-কে ধন-সম্পদ, পদমর্যাদা, উদ্যানরাজি এবং অট্টালিকাসমূহের অধিকারী অবশ্যই হইতে হইবে—উহার কোন মূল্য বা সারবত্তা নাই, তথাপি তাহাদের মিথ্যা প্রতিষ্ঠা তাহাদেরকে উপলব্ধি করাইবার জন্য এই আয়াতে প্রতিশ্রুতি দান করা হইয়াছে যে, আল্লাহ্তা’লা তাঁহাকে এবং তাঁহার অনুসারীদিগকে কাফেরদের দাবী অপেক্ষাও অধিকতর ধন-সম্পদ, বৃহত্তর এবং উৎকৃষ্টতর বাগান এবং অট্টালিকাসমূহ দান করিবেন। বস্তুতঃ রসূল (সাঃ)-এর অনুসারীদিগকে আল্লাহ্তা’লা ইরান এবং বাইজেনটাইন সম্রাটদের প্রাসাদ ও উদ্যানসমূহ দিয়াছিলেন।