পূর্ববতী ৩৭-৩৯ আয়াতসমূহে এক শ্রেণীর লোকের সপ্রশংস উল্লেখ রহিয়াছে। তাহারা ঐশী আলোর প্রেমিক এবং আল্লাহ্র ধর্মপরায়ণ বান্দা। বর্তমান এবং ঠিক ইহার পূর্ববর্তী আয়াত অন্য এক শ্রেণীর লোকের কথা বলে যাহারা অন্ধকারের অধিবাসী। এক শ্রেণীর মানুষ পবিত্র আলো আলিঙ্গন করে, উহাতে বিচরণ করে এবং ঈর্ষা জাগায়—এরূপ তাহাদের অবস্থা যাহা ‘আলোর উপরে আলো’ উপমার মধ্যে বর্ণিত হইয়াছে। অপর শ্রেণীটি ঐশী আলো প্রত্যাখ্যান করে, সন্দেহের অন্ধকারে পথ হাতড়াইতেই পসন্দ করে। তাহাদের সকল কর্মকাণ্ড মরীচিকার মত প্রতারণাপূর্ণ এবং অকার্যকর বলিয়া প্রমাণ করে। তাহারা অন্ধকার ভালবাসে, অন্ধকারের পিছনে চলে এবং অন্ধকারেই বাস করে। কাজেই তাহাদের অবস্থা অতি সঙ্গতভাবে এবং স্পষ্টরূপে বর্ণিত হইয়াছে এই কথাগুলিতে—‘তাহাদের (কৃত-কর্মের অবস্থা) গভীর সমুদ্রে বিরাজমান এমন অন্ধকাররাশির ন্যায় যাহাকে তরঙ্গের পর তরঙ্গ আচ্ছন্ন করিয়া রাখিয়াছে যাহার উপর মেঘমালা রহিয়াছে, এই অন্ধকাররাশি এমন যাহা স্তরে স্তরে পুঞ্জীভূত’।