একজন মানুষ যে খাদ্য গ্রহণ করিয়া থাকে এবং তাহার যে ভাল-মন্দ কর্ম-এই দুইয়ের মধ্যে যে এক গভীর ও সুক্ষ্মসম্পর্ক বিদ্যমান— এই বাস্তব সত্য চিকিৎসাবিজ্ঞান ক্রমশঃ স্বীকার করিতে আরম্ভ করিয়াছে। কিন্তু ইসলাম ১৪০০ বৎসর পূর্বেই খাদ্য সম্পর্কিত নির্দেশাবলী প্রদান করিয়াছিল যাহা ব্যাপক নৈতিক গুরুত্ব বহন করে। এই বিষয়ে উপস্থাপিত ইসলামের মৌল-নীতি এই যে, মানুষকে যেহেতু তাহার সকল প্রাকৃতিক সহজাত প্রবৃত্তি ও অন্তর্নিহিত কর্মশক্তি অবশ্যই বিকশিত করিতে হইবে, তাহার দৈহিক, নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক বিষয়ে অনিষ্টকর ছাড়া সকল প্রকার খাদ্য হইতেই অংশ গ্রহণ করার প্রয়োজন রহিয়াছে। বিশুদ্ধ ও ভাল খাদ্যের ব্যবহারে সুস্থ মানসিক অবস্থার জন্ম হয়, যাহা সৎ এবং সুকর্মের প্রেরণা সৃষ্টি করে।