১৯৫২

‘নাসাকা লিল্লাহে’ অর্থ সে আল্লাহ্‌তা’লার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে কুরবানী করিয়াছিল এবং স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া অবিরাম সৎকর্ম করিয়াছিল। ‘মানসাকা’ শব্দের অর্থ ত্যাগের নিয়ম প্রণালী, যে স্থানে এইরূপ অনুষ্ঠানাদি পালন করা হয় (আকরাব)। এই আয়াত দ্বারা কুরবানীর বিষয়-বস্তু সূচীত হইয়াছে (তিনটি মূল বিষয়-বস্তুর একটি যাহার সম্বন্ধে এই সূরা আলোচনা করিয়াছে) অপর দুইটি হইল হজ্জ এবং জিহাদ। আয়াতটি আরও প্রতিপন্ন করে যে, কুরবানী সম্বন্ধে আদেশ কেবল ইসলামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নহে। ইহা সকল ধর্মেই সার্বজনীন,কারণ ইহা এক অভিন্ন ঐশী সূত্র হইতে উদ্ভূত। আয়াতে আরও প্রমাণিত হয় যে, ইহা পশুরই কুরবানী ছিল যাহা আদিকাল হইতেই সকল ধর্মের অনুসারীদিগের উপর নির্দেশ করা হইয়াছিল এবং মানুষ বলির নিষ্ঠুর প্রথা পরবর্তী কালের প্রবর্তন। এতদৃষ্টে মূল শব্দ ‘নাসাকা’ বিভিন্ন অর্থে (লেইন), প্রকৃত ও অকৃত্রিম কুরবানী তিন প্রকার অত্যাবশ্যক বৈশিষ্ট্যের অধিকারীঃ (ক) ইহা স্বেচ্ছাকৃত এবং স্বতঃস্ফূর্ত হওয়া উচিত, (খ) এই কুরবানী পবিত্রতম উদ্দেশ্যে হইতে হইবে, (গ) ইহা পার্থিব বিবেচনা প্রসূত কুরবানী হইলে চলিবে না।