১৯৪০

আল্লাহ্‌তা’লা প্রকৃতির অটল নিয়ম নির্ধারণ করিয়া দিয়াছেন, যাহা চেতন এবং অচেতন সকল বস্তুই মানিয়া চলিতে বাধ্য। এই বিধানের বাহিরে আর কোন পথ খোলা নাই। তদসত্ত্বেও নিশ্চিত আর এক কানুন বা বিধান— শরীয়তের বিধান রহিয়াছে, যাহা আল্লাহ্‌তা’লা মানবের পথ-প্রদর্শনের জন্য ওহী দ্বারা প্রকাশ করিয়াছেন। শরীয়াতের এই কানুন মানার বা না মানার স্বাধীনতা মানুষের রহিয়াছে এবং এই অস্বীকৃতির ফলাফল সে ভোগ করিবে। আল্লাহ্‌তা’লাকে ছাড়িয়া প্রাকৃতিক বস্তুকে ইবাদতের জন্য গ্রহণ করার মত মূর্খতাকে তফসীরাধীন আয়াত প্রতিমা উপাসকদিগের নিকট আরও সন্দেহাতীতরূপে উপস্থাপন করে। ইহাতে বলা হইয়াছে যে, এই সকল বস্তুর আপন অস্তিত্বও আল্লাহ্‌রই উপর নির্ভরশীল। উহারা তাঁহার দ্বারা নির্ধারিত নিয়মের অনুগত এবং এক মুহূর্তের জন্যও আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়া স্বাধীনভাবে বাঁচিতে পারে না। অতএব যে সকল বস্তু ও সত্তা নিজেরাই আল্লাহ্‌তা’লার সৃষ্ট কানুনের অধীন তাহাদিগকে ভক্তি এবং পূজা করা চরম মূর্খতা বৈ আর কিছুই নহে।