১৮৮৫

‘আন তামিদা বিহিম’ উক্তির অর্থ পাছে ইহা উহাদিগকে লইয়া দুলিয়া না উঠে, উহাদিগকে সহ কম্পমান না হইয়া পড়ে, উহাদিগের উপকারে আসে! মাদা-এর অর্থ ইহাও হয় যে, ‘সে ফায়দা ও মঙ্গল দান করিয়াছিল’ (আকরাব)। আয়াত আরো এক বৈজ্ঞানিক সত্যের উপর আলোকপাত করে। ভূবিদ্যা বাস্তবে প্রমাণ করিয়াছে যে, পর্বতগুলি বহুল পরিমাণে পৃথিবীকে ভূমিকম্প হইতে নিরাপদ করিয়াছে। শুরুতে ভূগর্ভ বা পৃথিবীর অভ্যন্তর অতীব গরম ছিল। প্রচণ্ড উত্তাপের ফলে যখন পৃথিবীর অভ্যন্তরে গ্যাসের সৃষ্টি হইল, তখন উহা নির্গমনের জন্য চাপ সৃষ্টি করিল এবং এইরূপে প্রচণ্ড আলোড়নে আগ্নেয়গিরির আকার ধারণ করিল (‘মার্ভেলস এণ্ড হিস্টরী অব সায়েন্স’ বাই আলিসন হক্স এবং এনসাইক ব্রিট ‘জিয়োলজী’ অধ্যায়) আয়াতের মর্ম ইহাও হইতে পারে যে, পৃথিবীর আপন কক্ষের উপর অটলভাবে আবর্তন করিবার জন্য পর্বতশ্রেণী গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক হয়। পৃথিবী স্থির নিশ্চল নহে বরং সূর্যের চতুর্দিকে আপন কক্ষ পথে প্রদক্ষিণ করে।এই তত্ব আবিষ্কারের বহু পূর্বেই কুরআন করীম প্রকাশ করিয়াছিল যে, ‘পৃথিবী ঘূর্ণায়মান (২৭ঃ৮৯ এবং ৩৬ঃ৩৯-৪১)।