‘সামীয়া’ অর্থ বৈশিষ্ট্য বা মহত্ব বা মর্যাদায় প্রাধান্যের জন্য প্রতিযোগী বা প্রতিদ্বন্দ্বী সদৃশ্য বা সমতুল্য, অন্যের সমনামধারী ব্যক্তি (লেইন)। এই আয়াতের অর্থ এমন নহে যে, হযরত ইয়াহ্ইয়ার জন্য সমনামধারী কোন ব্যক্তি তাঁহার পূর্বে ছিল না। বাইবেল হইতেই ইহা প্রতিপন্ন হয় যে, তাহার পূর্বে যোহন নামের বিভিন্ন ব্যক্তি ছিল (২ রাজাবলী-২৫ঃ২৩, ১- বংশাবলী-৩ঃ১৫, ইম্রা-৮ঃ১২)। ইহার অর্থ এইরূপ করাও যায় যে, তিনি সকল বিষয়ে তুলনাবিহীন এবং অসমকক্ষ ছিলেন। তিনি নিজেই স্বীকার করেন যে, ‘যিনি আমা অপেক্ষা শক্তিমান তিনি আমার পশ্চাৎ আসিয়াছেন, আমি হেট হইয়া তাহার পাদুকার বন্ধন খুলিবার যোগ্য নই’ (মার্ক-১ঃ৭)। এই আয়াতের মর্ম কেবল ইহাই যে, হযরত ইয়াহ্ইয়া বা যোহন শুধু এই বিষয়ে অতুলনীয় ছিলেন যে, তিনিই প্রথম নবী যিনি অন্য নবীর অর্থাৎ ঈসা (আঃ)-এর অগ্রদূতরূপে আগমন করিয়াছিলেন, এবং তিনি তুলনা-বিহীন ছিলেন এই ব্যাপারেও যে, হযরত ইয়াহ্ইয়া প্রথম নবী যিনি অন্য এক নবীর (অর্থাৎ ইলিয়াস নবীর) আত্মা ও মেযাজের সাদৃশ্যরূপে আবির্ভূত হইয়াছিলেন।