১৭১০

আঁ-হযরত (সাঃ)-এর অনুসারীগণের মত ভয়াবহ অবস্থাধীনে কঠিন পরীক্ষার সময় মূসা (আঃ)-এর অনুসারীরা ধৈর্য এবং অবিচলতায় উচ্চ স্তরের কোন নমুনা পেশ করিতে পারে নাই (৫ঃ২২-২৫ এবং বুখারী, কিতাবুল মাগাযী)। এই আয়াত মূসা (আঃ) এবং নবী করীম (সাঃ)-এর স্বাভাবিক মেযাজেরও তুলনা করিয়াছে। মূসা (আঃ) অধৈর্য হইয়া “আল্লাহ্‌র বান্দা” কে প্রশ্ন করিয়াছিলেন সেই বিষয়ে যাহা তাহার বোধগম্য হইতেছিল না, কিন্ত আঁ-হযরত (সাঃ) সহিষ্ণুতার সাথে অপেক্ষা করিয়াছিলেন যে পর্যন্ত না হযরত জিব্‌রাঈল তাঁহাকে বিভিন্ন বিষয়াদি সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করিয়াছিলেন যেসব তিনি নিজের মে’রাজের সময়ে দেখিয়াছিলেন। এই দুই প্রসিদ্ধ নবীর প্রকৃতিতে বিদ্যমান প্রভেদ তাঁহাদের নিজ নিজ শিষ্যগণের আচরণেও প্রতিফলিত হইয়াছিল। সর্বপ্রকার অপ্রয়োজনীয় এবং নির্বোধ প্রশ্ন-বাণে ইহুদীগণ যখন হযরত মূসা (আঃ)-কে একটানাভাবে বিরক্ত ও জ্বালাতন করিয়াছিল, তখন হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর অনুসারীগণের ব্যবহার ও আচরণ অত্যন্ত সংযম এবং মর্যাদায় বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত ছিল। তাঁহারা বিশেষ সতর্কতার সহিত নবী করীম (সাঃ)-কে কোন ধর্মীয় বিষয় প্রশ্ন করা হইতে এড়াইয়া চলিতেন। নবী করীম (সাঃ) এবং সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) উভয়ে অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সহিত ২০ঃ১১৫ আয়াতে প্রদত্ত বিশেষ উপদেশ রক্ষা করিয়াছিলেন যে, ‘আল্লাহ্‌ই সবোচ্চ যিনি প্রকৃত সর্বাধিপতি, এবং তুমি কুরআন পাঠে তোমার প্রতি ইহার ওহী পূর্ণভাবে নাযেল হওয়ার পূর্বে তাড়াহুড়া করিও না।’