১৬৭৮

পাশ্চাত্যের খৃষ্টান জাতিগুলি পৃথিবীর সর্বত্র ছড়াইয়া পড়ার পরবর্তী অবস্থার দিকে এই আয়াত নির্দেশ করিয়াছে বলিয়া মনে হয়। ‘আমরা তাহাদিগকে (নিঃসহায় অবস্থা হইতে) উত্থিত করিলাম’ শব্দগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ উন্নতির দিকে ইংগিত করিতেছে যাহা এই জাতিসমূহের ভাগ্যে ভবিষ্যতের জন্য পূর্ব নির্ধারিত ছিল। তাহাদের মধ্য হইতে একজন বলিল, তোমরা কতকাল অবস্থান করিয়াছ?’ এই বাক্য ব্যক্ত করিতেছে যে, খৃষ্টান জাতিগুলি সচেতন হইয়া অনুভব করিতে আরম্ভ করিবে যে, নিজদিগকে কর্মতৎপর করার এবং আলস্য ত্যাগ করার সময় ইহাই। এই জাগরণ আসিয়াছিল ক্রুসেডের (প্যালেষ্টাইন দখল করার) সময়ে, যখন ইংল্যাণ্ড, ফরাসী এবং জার্মানের নৃপতিগণ একই উদ্দেশ্যে সংঘবদ্ধ হইল এবং সমস্ত ইউরোপ একতাবদ্ধ হইয়া পরস্পরের সহযোগিতায় পরিকল্পিতভাবে মুসলমানদিগের হাত হইতে পবিত্র-ভূমি জবর দখল করিবার জন্য তাহাদের উপর আক্রমণ করিল। আরবী ভাষার বাকধারা অনুযায়ী তাহারা বলিল, ‘আমরা একদিন বা একদিনের একাংশ অবস্থান করিয়াছি’ বাক্যটি অনির্দিষ্ট সময়কে বুঝায়। অন্যত্র কুরআন করীম (২০ঃ১০৩-১০৪) পশ্চিমের খৃষ্টান জাতিগুলির নিদ্রিত বা নিষ্ক্রিয় থাকার যুগকে ১০০০ (এক হাজার) বৎসর বলিয়া নির্দিষ্ট করিয়াছে। ২০ঃ১০৩-১০৪ আয়াতে “দশ দিন” শব্দদ্বয় দ্বারা দশ শতাব্দী এবং নীলচক্ষু বিশিষ্ট শব্দ দ্বারা পাশ্চাত্যের অধিবাসী বুঝায়, যাহারা সাধারণতঃ নীল চক্ষু বিশিষ্টই হইয়া থাকে। ইহা প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক সত্য যে, প্রাচ্যের দেশসমূহে বৃটিশ শক্তির ভিত্তি স্থাপিত হইয়াছিল সপ্তদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে মহানবী (সাঃ)-এর পরবর্তী মোটামুটি এক হাজার বৎসর ধরিয়া এই সময়কাল অনুমিত হইয়া থাকে (মার্চ অব ম্যান)!