মনে হয় এই আয়াত এক ভবিষ্যদ্বাণীর প্রতি ইংগিত করিতেছে যে, এক সময় আসিবে যখন কুরআনের জ্ঞান পৃথিবী হইতে উঠিয়া যাইবে। অনুরূপ একটি অভিন্ন ভবিষ্যৎবাণী রসূল করীম (সাঃ) হইতে (মারদাওয়াই, বায়হাকী এবং ইবনে মাজা হাদিস গ্রন্থে হইয়াছে যে, এমন এক সময় আসিব যখন কুরআনের মর্মবাণী এবং মা’রেফাত এবং প্রকৃত অর্থ পৃথিবী হইতে অদৃশ্য হইয়া যাইবে এবং সেই যুগের তথাকথিত সুফীগণ ও অতীন্দ্রিয়বাদীগণ তাহাদের আদিরূপী ইহুদীদের মত অতি-প্রাকৃত শক্তির দাবীদারগণ সকলে মিলিয়া তাহাদের পরস্পরের সহযোগিতায় পরিকল্পিত পূর্ণ প্রচেষ্টা দ্বারাও উহা অর্থাৎ কুরআনের তত্ত্বজ্ঞান পুরুদ্ধার করিতে সক্ষম হইবে না। এই মহান কার্য অবধারিত রহিয়াছে কেবল প্রতিশ্রুত ইমাম মাহ্দী (আঃ)-এর জন্য, যিনি কুরআন সপ্তর্ষি মণ্ডলে উঠিয়া গেলেও সেখান থেকে আনিয়া পৃথিবীতে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করিবেন (বুখারী)। পরবর্তী আয়াত ‘ইল্লা রাহমাতাম মির রাব্বেকা’ ইহার প্রতি নির্দেশ করিতেছে।