১৬৩১

মানবজাতির এক বিরাট সংখ্যা গরিষ্ঠ দলকে পথভ্রষ্ট করার জন্য শয়তান যে ভীতি প্রদর্শন করিয়াছিল, উহাতে সে কিরূপ কৃতকার্যতা লাভ করিয়াছে? এই প্রশ্নটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, যাহার উত্তর দেওয়া প্রয়োজন। পৃথিবীতে শুভ ও অশুভ এবং ভাল ও মন্দ অবস্থার উপর আপাতঃ ও দ্রুত দৃষ্টি ফিরাইলে কোন ব্যক্তি এই ভুল সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে পারে যে, অশুভ বা অসৎ কিংবা পাপী বা দুবৃত্তরা প্রভাব এবং প্রাধান্য বিস্তার করিয়া চলিয়াছে সৎ, শুভ বা ধার্মিকের উপরে। এক কথায় কল্যাণের উপর অকল্যাণ টেক্কা মারিয়া চলিতেছে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা ইহার বিপরীত। দৃষ্টান্ত স্বরূপ যদি সর্ব প্রধান মিথ্যাবাদীর সকল উক্তি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা করা যায়, তাহা হইলে দেখা যাইবে যে, তাহার সত্য কথাগুলির সংখ্যা উৎকর্ষতায় তাহার মিথ্যাকে ছাড়াইয়া যাইতেছে। একইভাবে পৃথিবীতে দুষ্ট বা অসৎ লোকের সংখ্যা সৎ এবং ধার্মিক লোকের তুলনায় অনেক কম। প্রকৃত অবস্থা হইল এই যে, দুষ্টামী বা পাপাচার এত ব্যাপকভাবে দৃষ্টি আকর্ষণ করে যে, উহা নিজেই এই বাস্তব অবস্থার প্রমাণ যোগায় যে, মানব প্রকৃতি জন্মগতভাবে ভাল এবং উহা অমঙ্গলের সামান্যতম স্পর্শেও বিক্ষুদ্ধ হইয়া উঠে। অতএব, ইহা বলা ভুল হইবে যে, শয়তান তাহার ভীতি প্রদর্শনের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাইতে সক্ষম হইয়াছে।