এই আয়াত সন্দেহের সকল মূল কর্তন করে, যাহার অবলম্বন স্বভাবতঃ ‘কর্ণ’, ‘চক্ষু’ এবং ‘মন’। ‘কর্ণ’ হইল প্রথম প্রবেশ পথ যাহার মাধ্যমে অধিকাংশ সন্দেহ একজনের মনে প্রবেশ করিয়া থাকে। বেশীর ভাগ সন্দেহই যাহা অন্যের সম্বন্ধে শুনে উহা অবিবেচনাপ্রসূত মন্দ বর্ণনা দ্বারা সৃষ্টি হইয়া থাকে। তৎপরবর্তী উপায় বা বাহন হইল ‘দৃষ্টি’। এক ব্যক্তি অন্যকে কোন এক বিশেষ কাজ করিতে দেখিয়া উহার কদর্থ করিয়া বসে এবং কর্তার উদ্দেশ্য ও অভিপ্রায়ের প্রতি সন্দিহান হইয়া উঠে। সর্বশেষ এবং অতি নিকৃষ্ট প্রকারের সন্দেহ, যাহা কোন ব্যক্তি অন্য কাহারো সম্বন্ধে পোষণ করে, উহা না তো অপরের নিকট হইতে মন্দ কথা শোনার কারণে, না সেই ব্যক্তিকে কোন মন্দ কর্ম করিতে দেখার কারণে, বরং উহা আসলে সম্পূর্ণ সন্দেহ পোষণকারীর ব্যাধিগ্রস্ত মনের কুধারণাপ্রসূত উদ্ভাবনা। এইরূপে আয়াতটি শুধু মানুষের জীবন ও সহায় সম্পত্তিকেই নহে (যে বিষয়ে পূর্ববর্তী আয়াতে পূর্বাহ্নেই ইংগিত করা হইয়াছে যাহা পবিত্র ও অলংঘনীয়) বরং ইহা মানবিক মর্যাদা এবং সম্মানকেও পবিত্র ও অলংঘনীয় করিয়াছে এবং ঘোষণা করিয়াছে যে, কাহারও সম্মানের উপর আঘাতের জন্য অবশ্যই জবাব দিতে হইবে।