১৪৫৩

এই আয়াতের অর্থ ইহা নহে যে, আঁ-হযরত (সাঃ)-এর পয়গাম কেবল আরববাসীগণের জন্যই সীমাবদ্ধ। এইরূপ ধারণা কুরআন করীমের অন্যান্য আয়াত দ্বারা ভ্রান্ত প্রতিপন্ন হয়। কুরআন করীমের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে এবং দ্ব্যর্থহীনরূপে তাঁহাকে সারা বিশ্বের সকল মানব জাতির জন্য প্রেরিত আল্লাহ্‌র রসূল বলিয়া ঘোষণা করা হইয়াছে (৭ঃ১৫৯; ৩৪ঃ২৯)। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর মিশনের সার্বজনীনতা একমাত্র কুরআনেরই দাবী নহে, হাদীসেও বর্ণিত হইয়াছে যে, রসূল করীম (সাঃ) স্বয়ং বলিয়াছেনঃ- “আমি লাল কাল অর্থাৎ সকল জাতীয় মানুষের জন্য প্রেরিত হইয়াছি” (মজমাউল বিহার)। অন্য এক হাদীসে তিনি বলিয়াছেনঃ “আমি বিশ্বমানবের জন্য আবির্ভূত হইয়াছি” (বুখারী)। কুরআন নাযিল হইয়াছিল আরবী ভাষাতে, কারণ (তাঁহার) সম্মুখস্থ আরবী ভাষাভাষী আরবজাতিকেই সর্বপ্রথম সম্বোধন করা হইয়াছিল, এবং তাহাদের মাধ্যমেই বিশ্বব্যাপী ইহার বাণী (ইসলাম) প্রচার হওয়া নির্ধারিত ছিল কিন্তু এইজন্য নহে যে, কুরআনের বাণী শুধু আরববাসীদের জন্য নাযেল হইয়াছিল। কুরআন আরবী ভাষায় নাযেল হওয়ার আরো কারণ হইল যে, সকল ভাষার মোকাবিলায় ইহা অধিক ভাব প্রকাশে সক্ষম। ইহা প্রাঞ্জল এবং ব্যাপক ভাষা। ইহার উপযোগিতা কুরআনের বাণী প্রচারের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম।