১৩৩২

হযরত ইব্রাহীম (আঃ) ‘প্রেরিতগণকে’ প্রথমে সাধারণ পথিক বলিয়াই মনে করিয়াছিলেন। কিন্তু যখন সামনে পরিবেশন করা ভাজা গো-বৎসের মাংস খাইতে তাঁহারা বিরত রহিলেন, তখন তিনি বুঝিতে পারিলেন যে, তাঁহারা বিশেষ কোন কার্যে প্রেরিত হইয়াছেন, যাহা তিনি বুঝিতে সক্ষম হন নাই। ‘তাঁহাদের ব্যাপারে ভীত হইলেন’ কথার অর্থ এই নহে যে, হযরত ইব্রাহীম (আঃ) অচেনা-অজানা লোক দেখিয়া ভয় পাইতেছিলেন, বরং তাহারা খাদ্য গ্রহণে অনীহা প্রকাশ করায় তিনি এই ভয়ে খুব অস্বস্তি বোধ করিতেছিলেন যে, হয়ত আতিথেয়তার শিষ্টাচারে কোন ক্রুটি রহিয়াছে। অতিথিগণ সম্ভবতঃ ইব্রাহীম (আঃ)-এর মুখমণ্ডলের অস্থিরতা লক্ষ করিয়া তাঁহার মনের বিচলিত অবস্থাকে উপলব্ধি করিয়াছিলেন। তৎক্ষণাৎ তাঁহাকে উতকণ্ঠা মুক্ত করিবার জন্য বলিলেনঃ তাঁহারা মোটেই অসন্তুষ্ট হন নাই, এবং যেই কারণে তাঁহারা খাদ্যে অংশ গ্রহণ করেন নাই ইহা হইল, যেই উদ্দেশ্যে তাঁহারা নিয়োজিত তাহা এক অত্যন্ত ভীতিপূর্ণ বিষয় যাহা তাঁহাদের আহারে অরুচি আনিয়া দিয়াছে। অতিথিগণের এই জবাবেও দেখা যায় যে, তাহারা ফিরিশ্‌তা ছিলেন না, নতুবা তাঁহারা ইহাই বলিতেন যে, তাঁহারা মানব নয় বলিয়া যমীনের খাদ্য গ্রহণ করিতে পারেন না। হযরত লুত (আঃ) ‘ফিলিস্তিন’, ‘মোআব’ এবং ‘আমমন’-এর অধিবাসীদের পূর্বপুরুষ ছিলেন। তিনি হারানের পুত্র, তেরাহ্‌র পৌত্র ছিলেন এবং হযরত ইব্‌রাহীম (আঃ)-এর ভ্রাতুষ্পুত্র ছিলেন। তিনি হযরত ইব্‌রাহীম (আঃ)-এর সঙ্গে কেনানে মিলিত হইয়াছিলেন।