কুরআন শরীফের বাকভঙ্গির একটা বিশেষত্ব এই যে, কখনো প্রশ্নকে বাদ দিয়া শুধু উত্তর প্রদান করা হইয়াছে যাহার মধ্যে অন্তর্নিহিত প্রশ্নটিও প্রকাশিত হইয়া থাকে। উল্লেখিত আয়াত এই ব্যতিক্রমধর্মী বিশেষত্বের একটি প্রমাণ। পূর্ববর্তী আয়াতে মো’মেনদিগকে প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হইয়াছিল যে, তাহাদের জন্য ক্ষমা ও মহাপ্রতিদান রহিয়াছে। ইহাতে অবিশ্বাসীরা বিদ্রুপের সূরে রসূল করীম (সাঃ)-কে প্রশ্ন করিয়াছিল, মো’মেনগণের জন্য প্রতিশ্রুত মহা-প্রতিদান কোথায়? আমরাতো কিছুই দেখি না। মো’মেনদের কথা বাদ দিলেও তুমিতো নিজেই একজন নিঃস্ব ব্যক্তি, যদিও তোমার অর্থের প্রয়োজন খুব বেশী, অথচ তোমাকে সাহায্য করার জন্য আকাশ হইতে কোন ফিরিশ্তা অবতীর্ণ হইতেও দেখি না। তাহাদের এই বিদ্রুপের উত্তরে কুরআন উল্টা ব্যঙ্গোক্তির প্রত্যুত্তরে ব্যঙ্গোক্তির মাধ্যমে বলিতেছে, “ওহে ! ভারী তো প্রশ্ন করিয়া বসিয়াছে, যেন সম্ভবতঃ ইহার উত্তর দিতে পারিবে না বলিয়া সেই ভয়ে হে রসূল (সাঃ)! তুমি ঐশী-বাণীর সেই অংশকেই গোপন করিবে যাহাতে ইসলামের বিজয় ও উন্নতির ভবিষ্যদ্বাণী রহিয়াছে! ইহাতো তাহাদের অলীক ও ব্যর্থ মনোবাঞ্ছা মাত্র, যাহা কখনো পূর্ণ হইবে না।”