১২৫৮

এই আয়াতে অতি সুন্দর জ্ঞানপূর্ণ নিয়মের বিন্যাস বিদ্যমান। ইহা পার্থিব জীবনকে খাদ্যের দ্বারা পুষ্টিসাধনের মাধ্যমে বাঁচাইয়া রাখার উল্লেখ দারা শুরু হইয়াছে। তৎপর ইহা দৃষ্টি এবং শ্রবণেন্দ্রিয়ের কথা বলিয়াছে, যাহা জ্ঞান ও প্রজ্ঞা অর্জনের মাধ্যম। ইহার পরে মানবের কর্ম প্রেরণার প্রতি নির্দেশ করতঃ জীবন ও মৃত্যুর অমোঘ নিয়ম বর্ণিত হইয়াছে যাহা স্বাভাবিকভাবে জ্ঞান ও প্রজ্ঞা লাভ করার পরে কার্যকর হইয়া থাকে। সর্বশেষে ইহা বিষয়সমূহের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা সম্পর্কে ব্যক্ত করিয়াছে—যখন হইতে ব্যক্তি নিজের কর্মশক্তি (তদবির) কাজে লাগাইতে আরম্ভ করে, অর্থাৎ তাহার কাজকর্ম সুশৃংখল এবং নিয়মানুগ পদ্ধতিতে পরিচালনা করিতে থাকে এবং বিভিন্ন কর্মের মধ্যে যথাযথ সমন্বয় সাধন করে। সংক্ষেপে এই চারটি উপায় বা উপকরণই প্রাকৃতিক পর্যায়ে উল্লেখ করা হইয়াছে, যাহা মানব জীবনের উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যক।