তফসীরাধীন আয়াত নবুওয়াতের দাবীকারকের সত্যতা যাচাই করার জন্য বিচারের অভ্রান্ত মাপকাঠি বা নীতি নির্ধারণ করিয়াছে। একজন নবীর নবুওয়াতের দাবী করার পূর্বের জীবন যদি সত্যবাদিতায় ও ন্যায়-পরায়ণতায় অসাধারণ উচ্চ পর্যায়ের হয় এবং সেই সময় এবং তাহার নবুওয়াতের দাবীর মধ্যবর্তী সময়কালে তাঁহার সেই উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ নৈতিক মহত্ব বা উৎকর্ষের কোনরূপ অধঃগতির লক্ষণ যদি না থাকে, তবে তাঁহার দাবী অতি উচ্চ মর্যাদা-সম্পন্ন এবং সত্যবাদী লোকের দাবী বলিয়া অবশ্যই গ্রহণ করিতে হইবে। স্বভাবতঃই কোন ব্যক্তির পক্ষে নিশ্চিতরূপে নিজ আচরণের মধ্যে অভ্যাসগতভাবে বা মানসিকভাবে বড় রকমের ভাল বা মন্দ পরিবর্তন সাধন করাটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। অতএব, ইহা কিরূপে সম্ভব যে, ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) যখন তাঁহার নবুওয়াতের দাবীর পূর্বে সমস্ত জীবন ব্যাপিয়া অনন্য সাধারণ সৎ এবং সাধু ব্যক্তিরূপে প্রমাণিত ছিলেন, তিনি হঠাৎ রাতারাতি ভণ্ড দাবীকারকে পরিবর্তিত হইয়া গেলেন?