বর্তমান আয়াতে “মুত্তাকী সম্প্রদায়ের জন্য” উক্তিটি পূর্ববর্তী আয়াতের “জ্ঞানবান জাতির জন্য” উক্তির বদলে ব্যবহৃত হইয়াছে। কারণ যদিও চন্দ্র-সূর্যের ক্রম-আবর্তন ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য বিষয়– সাধারণ ব্যক্তিও উহা জানে,তবুও শুধু মুত্তাকী লোকেরাই বিরূপভাব না লইয়া বিচার-বিশ্লেষণের মাধ্যমে উহা হইতে প্রকৃত আধ্যাত্মিক ফায়দা হাসিল করিতে পারে। পূর্বোক্ত আয়াতে বর্ণিত চন্দ্র এবং সূর্যের ভিন্ন ভিন্ন কক্ষ বিন্যাস সকলের অনুধাবন করা এবং বোধগম্য হওয়া সহজসাধ্য ব্যাপার নহে। অতএব কেবল জ্ঞান-সমৃদ্ধ ব্যক্তিগণই ইহা দ্বারা উপকৃত হইতে পারে। এতদ্ব্যতীত দিন এবং রাত্রির পরিবর্তন জাতিসমূহের উত্থান-পতনের অনুরূপ। তাহাদের উন্নতি এবং গৌরবময় দিবসের পরে আসে তাহাদের অবনতি ও অধঃপতনের রাত্রি। কোন জাতিই কখনও অবিরাম বা স্থায়ী গৌরব ভোগ করে নাই, কোন জনগোষ্ঠীও চিরকাল দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকে নাই বা চিরদিন অধঃপতিত অবস্থায় অন্ধকারে পথ হাতড়াইয়া বেড়ায় নাই। কোন জাতি তাহাদের উন্নতির কালকে দীর্ঘায়ীত করিতে পারে এবং অবনতি ও অবক্ষয়ের অন্ধকার রাত্রিকে হ্রাস করিতে পারে। তাহাদের রাত্রির আগমনকে বিলম্বিত করাও তাহাদের কর্মফল দ্বারাই সম্ভব।