১১৩৯

আয়াতের মধ্যে মুসলমানদিগকে উপদেশ দেওয়া হইয়াছে যে, কার্যকর প্রস্তুতি যুদ্ধের প্রতিরোধক এবং তাহাদিগকে আরো নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে যে, তাহারা কেবল দেশের অভ্যন্তরেই যথেষ্ট শক্তি বা বাহিনী রাখিবে না, বরং সীমান্তেও প্রচুর সৈন্য মোতায়েন রাখিবে এবং বুদ্ধিমত্তায়, বিশ্বাসে এবং কর্মচাঞ্চল্যে নিজদিগকে এমনভাবে পরিচালনা করিবে যে, যুদ্ধের স্থান হইতে বহু দূরবর্তী এলাকার শত্রুরাও যেন এরূপভাবে প্রভাবিত হয় যাহাতে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সকল চিন্তা-ভাবনা তাহারা ত্যাগ করে। যুদ্ধের ব্যাপারে মুক্তহস্তে প্রয়োজনীয় খরচ নির্বাহ করার জন্যেও আয়াতটি নির্দেশ করিয়াছে। মনে হয় ইহা মো’মেনদের জন্য হুশিয়ারী এবং ভবিষ্যদ্বাণীও বহন করে। ভবিষ্যদ্বাণীটি এই যে, আরবের পৌত্তলিকেরাই শুধু মুসলমানদিগের শত্রু নহে। অন্যান্য জাতির লোকেরাও তাহাদের উপর অদূর ভবিষ্যতে আক্রমণ করিতে পারে। বাইজানটাইন এবং পারশ্য সাম্রাজ্যের প্রতি এই ভবিষ্যদ্বাণীটি ইংগিত করিয়াছিল — নবী করীম (সাঃ)-এর ইন্তেকালের পর পরই মুসলমানদিগকে তাহাদের সহিত যুদ্ধ করিতে হইয়াছিল।