বদরের বিজয় প্রকৃতপক্ষে মুসলমানদের দক্ষতা এবং শক্তির উপর নির্ভরশীল ছিল না। বিরুদ্ধবাদীদের এক বিরাট সংখ্যাধিক্য, সুসজ্জিত এবং রণকৌশলে নিপুণ সেনাবাহিনীর হাত হইতে বিজয় গৌরব ছিনাইয়া নেওয়ার জন্য মুসলমানবাহিনী তুলনামূলকভাবে ছিল স্বল্প সংখ্যক, দুর্বল এবং অসম্পূর্ণভাবে সজ্জিত। ইহার মধ্যে এবং হযরত মূসা (আঃ)-এর যষ্ঠিদ্বারা সমূদ্রের পানিতে আঘাত করার মধ্যে এক লক্ষ্যণীয় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ সাদৃশ্য রহিয়াছে। শেষোক্ত ঘটনায় যেমন মূসা (আঃ)-এর যষ্ঠির আঘাতে বাতাস প্রবাহিত হওয়ার এবং সমুদ্রের ভরাজোয়ারের প্রত্যাবর্তনের সংকেত ছিল যাহাতে ফেরাউন তাহার দলবল সহ সমুদ্রের পানিতে ডুবিয়া ধ্বংস হইয়াছিল, তেমনিভাবে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর এক মুষ্টি কঙ্কর নিক্ষেপে প্রচণ্ড বাতাস প্রবাহিত হওয়ার সংকেত ছিল যাহার মধ্যে আবু জাহল (যাহাকে রসূল করীম (সাঃ) তাঁহার জাতির ফেরাউন আখ্যায়িত করিয়াছিলেন) এবং তাহার মস্ত বড় দল মরুভূমিতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হইয়াছিল। উভয় ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক শক্তির ক্রিয়া বিশেষ ঐশী-নিয়মের অধীনে আল্লাহ্তা’লার প্রেরিত দুই নবীর কার্যের সংগেই সংঘটিত হইয়াছিল।