মুসলমানগণ মদীনা হইতে বাহিরের দিকে যখন আগাইয়া চলিল তখন তাহারা জানত না যে, মক্কার সুসজ্জিত ও সুনিপুণ সৈন্য বাহিনীর মোকাবিলা করিতে হইবে। সেইজন্য তাহারা যুদ্ধের পূর্ণ প্রস্তুতি লইয়া আসে নাই। অতএব, পথে তাহারা যখন জানিতে পারিল যে, মক্কা বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়তে হইবে তখন তাহারা উৎকণ্ঠিত হইয়া নবী করীম (সাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করিল, ঘটনার প্রকৃত অবস্থা তিনি পূর্বে কেন বলেন নাই, যাহাতে তাহারা শত্রুর মোকাবিলা করার জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করিয়া আসিতে পারিত। এই দুশ্চিন্তা তাহাদের নিজেদের জন্য ছিল না, বরং আঁ-হযরত (সাঃ)-এর নিরাপত্তার জন্য ছিল। তাহাদের অপ্রস্তুতির কারণে নবী করীম (সাঃ) প্রকাশ্য বিপদের মুখে পড়ুন ইহা তাহাদের নিকট অসহনীয় ছিল। এই আয়াতে “তোমাকে বাহিরে আনিয়াছিল”, (“তোমাদিগকে আনিয়াছিল” নহে,) স্পষ্ট ইঙ্গিত করিতেছে যে, আল্লাহ্তা’লা, যাহার ইচ্ছানুযায়ী আঁ-হযরত (সাঃ) মো’মেনগণকে মক্কাবাহিনীর সাথে সাক্ষাত যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার সংবাদ পূর্বাহ্নে দেন নাই তাহাকে কখনও অরক্ষিত রাখবেন না। মুসলমানগণ যুদ্ধের জন্য ভীত ছিলেন না। তাঁহারা ইহাতে অনিচ্ছুক ছিলেন, কারণ মানুষের রক্ত ঝরাইতে তাহারা পসন্দ করেন নাই এবং বিশেষ কারণ ইহাও ছিল যে, রসূল করীম (সাঃ) ব্যক্তিগতভাবে বিপদের মুখে আসিয়া গিয়াছিলেন।