এই আয়াত নির্দেশ করিতেছে যে, হালাল ও হারাম খাদ্যের সম্পর্কে আরবের পৌত্তলিকগণ কর্তৃক নিয়ম-কানুন ছিল স্বেচ্ছাচারী ও জ্ঞান বিবর্জিত, অথচ ইসলামের প্রবর্তিত খাদ্য-বিধান যুক্তি এবং জ্ঞান-ভিত্তিক। মূলতঃ বলিতে গেলে, ইসলাম চারটি বস্তু নিষিদ্ধ করিয়াছে—তিনটির ভিত্তি হইল উহাদের “রিজ্সুন” অর্থাৎ দুষিত ও অপবিত্র হওয়ার কারণে, এবং একটি উহার “ফিস্কুন” অর্থাৎ জঘন্য অপবিত্র এবং ধর্মবিরোধী হওয়ার কারণে। প্রথমোক্ত তিনটি বস্তু হইল মৃত জীব-জন্তুর মাংস, জখমকৃত বা বধকৃত বা যবহ্ করা প্রাণীর দেহ হইতে নির্গত হওয়া রক্ত এবং শূকরের মাংস। এইগুলিই আয়াতে উল্লিখিত “রিজ্সুন” (দুষিত এবং অপবিত্র) অর্থাৎ মানুষের নৈতিক এবং দৈহিক উভয় ক্ষেত্রে অনিষ্টকর। স্বরণ রাখিতে হইবে, “রিজ্সুন” শব্দ প্রথমোক্ত তিনটি নিষিদ্ধ বস্তুর প্রত্যেকটির সঙ্গে পাঠ করিতে হইবে। চতুর্থ হারাম বস্তু হইল, যাহার উপর আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কিছুর নাম উচ্চারিত হয়। উহা হইল “ফিস্কুন” (নাপাক বা অপবিত্র), অর্থাৎ আল্লাহ্তা’লার অবাধ্যতা অথবা বিরুদ্ধাচরণের উৎস। এইরূপ খাদ্য-দ্রব্য ভক্ষণ মানুষের আধ্যাত্মিক জীবনের ক্ষতি সাধন করে, এবং আল্লাহ্র জন্য ভালবাসা ও মর্যাদাবোধের অনুভূতি নষ্ট করে।