৭৯৮-ঘ

খুঁটিনাটি ও বিস্তারিত স্বল্প-প্রয়োজনীয় বিষয়াদির ব্যাপারে মানুষ নিজের বিচার-বিবেচনা খাটাইয়া আইন করিয়া ব্যবহারবিধি বানাইয়া লইতে পারে।এই আয়াতে আসিয়া বলা হইতেছে যে, এই বিচার-বিবেচনা খাটানোর অধিকার, মৌলিক বিষয়াদিতে প্রয়োগ করা যাইবে না। কেননা, মৌলিক বিষয়ে ঐক্যমত থাকা একান্ত আবশ্যক, তাহা না হইলে ভিন্ন ভিন্ন মতামত সৃষ্টি হইয়া গুরুতর ক্ষতি হইবে। আয়াতটি উদাহরণ দ্বারা বুঝাইয়া দিতেছে যে, মৌলিক বিষয়ে আইন-বিধি রচনা করার জন্য, মানুষের সীমিত বুদ্ধিমত্তার উপর নির্ভর করা যাইতে পারে না। আরবেরা তাহাদের দেবতাকে সন্তুষ্ট করার মানসে তাহাদের গৃহ-পালিত পশুকে মুক্ত করিয়া ছাড়িয়া দিত যাহাতে তারা যত্র তত্র অবাধে চলাফেরা ও পানাহার করিতে পারে। ইহা ছিল তাহাদের অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কার-জনিত কু-বুদ্ধি। এই পন্থা বা আরচণ ছিল একান্তই অর্থহীন ও নির্বোধ। পশুগুলি যে দিকে যাইত ধবংসের ছাপ রাখিয়া যাইত। মানুষের আইনের মধ্যে যে কত খারাপিও থাকিতে পারে, এই উদাহরণ দ্বারা, কুরআন তাহা বুঝাইয়া দিতেছে। খৃষ্টানেরা বলে, “শরীয়াত এক অভিশাপ”। কুরআন তাহাদিগকে হুশিয়ার করিয়া বলিতেছে, তাহারা যেন আরবদের পশু-মুক্তির উদাহরণ হইতে শিক্ষা গ্রহণ করে। আরববাসীদের সঠিক পথে চালনার জন্য কোনও অবতীর্ণ শরীয়াত ছিল না বলিয়াই, তাহারা এইরূপ নীতি-বিগর্হিত কাজে লিপ্ত হইয়াছিল ও তাহাদের বুদ্ধি-বৈকল্য ঘটিয়াছিল।